পারিশ্রমিক নেয়ার কথা বললে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন আল্লাহর সামনে আমি কোন মুখে দাঁড়াবো? হারামায়ইন শরীফাইনের আর্কিটেক্ট মোঃ কামাল ইসমাইল

প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ২, ২০২৪
{“remix_data”:[],”remix_entry_point”:”challenges”,”source_tags”:[“local”],”origin”:”unknown”,”total_draw_time”:0,”total_draw_actions”:0,”layers_used”:0,”brushes_used”:0,”photos_added”:0,”total_editor_actions”:{},”tools_used”:{“transform”:1},”is_sticker”:false,”edited_since_last_sticker_save”:true,”containsFTESticker”:false}

হজ মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। হারামাইনের শরিফাইনের পানে ছুটছেন লাখ লাখ মুসলিম। মক্কা-মদিনায় গিয়ে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যখন অনুভব করেন, বাইতুল্লাহ শরিফ ও মসজিদের নববির মেঝে খুবই শীতল, তাওয়াফ বা হাঁটাহাঁটি করতে সামান্যতম কষ্টও লাগছে না। তখন তারা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। অবাক হয়ে যান মসজিদে নববিতে ইলেকট্রনিক গম্বুজ ও বিখ্যাত ছাতা দেখেও।

হারামাইনের এই তিন অবাক ও অনিন্দ্য সুন্দর নির্মাণশৈলীর নেপথ্যে ছিলেন মিশরীয় আর্কিটেক্ট মুহাম্মাদ কামাল ইসমাইল। শতবর্ষী (১৯০৮-২০০৮) এই স্থপতি তার কর্মজীবনের প্রায় পুরোটা সময় কাটিয়ে দেন মক্কা ও মদীনার দুই মসজিদের সেবায়। কিন্তু পারিশ্রমিক নিতে তাকে রাজি করানো যায়নি কোনো সময়েই। পারিশ্রমিকের জন্য জোরাজুরি করলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করতেন, এই দুই পবিত্র মসজিদের জন্য কাজ করে পারিশ্রমিক নিলে শেষ বিচারের দিনে আমি কোন মুখে আল্লাহর সামনে গিয়ে দাঁড়াব?

মুহাম্মদ কামাল ইসমাইল ছিলেন ইসলামি স্থাপত্যশৈলীর ওপর তিনটি ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রথম মিশরীয় প্রকৌশলী। বাদশাহ ফাহাদের আদেশে তিনি হারামাইন শরিফাইন তথা বাইতুল্লাহ শরিফ ও মসজিদে নববির নকশা ও সম্প্রসারণের কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। এই দুই মসজিদের মেঝেতে কোল্ড মার্বেল, বৈদ্যুতিক গম্বুজ ও ছাতার ধারণার নেপথ্যে ছিলেন তিনি। তবে তার সর্বাধিক প্রসিদ্ধ কাজ হলো মসজিদুল হারামাইনের সম্প্রসারণ। পুরো জীবন ব্যয় করে সুচারুরূপে এ কাজের আঞ্জাম দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি তিনি। এর জন্য সৌদি বাদশাহ ফাহাদ এবং বিন লাদেন গ্রুপের সুপারিশও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। তার ভাষ্য ছিল, এই পবিত্র কাজের পারিশ্রমিক গ্রহণ করে কেয়ামতের দিন আমি কীভাবে আল্লাহর মুখোমুখি হব?

এই দুই বিখ্যাত মসজিদের কাজ ছাড়াও কামাল ইসমাইল তার দেশে বিখ্যাত কিছু স্থাপত্য নির্মাণ করেছিলেন। মূলত সে সবের আয় দিয়েই তার জীবন নির্বাহ করতেন। ২০০৮ সালের ২ আগস্ট তিনি ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স ছিল ৯৯ বছর